সংবাদ পরিক্রমা
- গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ছে ১৫.৭% পর্যন্তঃ রাঘব ছয়ের পঞ্চম কোম্পানীর ঘোষণা
ইউকেবেঙ্গলি, ১৬ অগাস্ট ২০১১, মঙ্গলবারঃ জার্মান মালিকানাধীন পাওয়ার কোম্পানী এনপাওয়ার জানিয়েছে যে, এ-বছরের অক্টৌবরের শুরু থেকে তারা বিদ্যুতের মূল্য ৭.২ শতাংশ ও গ্যাসের মূল্য ১৫.৭ শতাংশ বৃদ্ধি করবে, যদিও এ-বছরের প্রাথার্ধে তাদের মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের তুলনায়।
‘বিগ সিক্স’ নামে খ্যাত ছ’টি বৃহৎ পাওয়ার কোম্পানীর মধ্যে এনপাওয়ারের আগে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য যারা বাড়িয়েছে, তারা হলো স্কটিশ পাওয়ার, ব্রিটিশ গ্যাস, স্কটিশ এ্যান্ড সাদার্ন এনার্জী ও ইওএন। এ-ছ’টি রাঘবাকৃতির প্রতিষ্ঠান ব্রিটেইনের বাড়ীঘরগুলোর ৯৯ শতাংশে বিদ্যুত ও গ্যাস যোগান দেয়।
মূল্য-বৃদ্ধিতে পঞ্চম এনপাওয়ারের গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে ৬৫ লক্ষ। মূল্য-বৃদ্ধিতে এনপাওয়ারে গ্রাহকদেরকে গড়ে প্রতিবছর পরিশোধ করতে হবে ১,১৮৮ পাউন্ড, যা বর্তমানের তুলনায় বছরে ১১৪ পাউন্ড এবং দৈনিক ৩৭ পেন্স বেশি। পরিণতিতে, এনপাওয়ারের আয় বাড়বে বছরে ১২২.২০ কোটি পাউন্ড।
এনপাওয়ারের চীফ কমার্শিয়াল অফিসার কেইভিন মাইলস্ বলেছেন, ‘আমি জানি, আমরা যখন মূল্যবৃদ্ধি করি, তা প্রত্যেককে আঘাত করে, তাই বৃদ্ধিতে বাধ্য না হলে আমি খুশি হতাম।’ মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে মাইলস্ বলেন, ‘উত্তর সাগরে গ্যাস উত্তোলন হ্রাস পাওয়াতে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে নাজুক বৈশ্বিক পাইকারী বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে। বৈশ্বিক ঘটনাবলী মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখে ঠেলে দিয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করে এ-প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’
উল্লখ্য, যদিও বিশ্ববাজারে পাইকারী মূল্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা ২০০৮ সালে বৃদ্ধি পাওয়া মূল্যের এক তৃতীয়াংশ মাত্র।
দৃশ্যতঃ এনপাওয়ার তার চলতি মুনাফা থেকে ভবিষ্যতের বিনিয়োগের অর্থায়নের জন্য গ্রাহকদের উপর বাড়তি মূল্য পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এনপাওয়ারের প্রধান বাণিজ্য কর্মকর্তা তার স্বীকারোক্তিতে বলেন, ‘এ-বছরের প্রথম অর্ধে কোম্পানীর মুনাফা গত বছরের তুলনায় যদিও বেশি, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এনার্জী খাতে বিনিয়োগের জন্য যে বিলিয়ন-বিলিয়ন পাউন্ডের দরকার, তার জন্য এ-মুনাফা এখনও যথেষ্ট হিসেবে সূচিত হয়নি।’
ইউকেবেঙ্গলির বিশ্লেষণ-ভাষ্য মতে, বিশ্ব মন্দার পরিস্থিতিতে ও সরকারের জনখাতে কর্ত্তন-নীতির ফলে ব্রিটেইনের নিম্ন ও মধ্যবিত্তের আয় সঙ্কোচন ও ব্যয়বৃদ্ধি ও লক্ষ্য করা গেলেও বিপরীতক্রমে বহুজাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা বৃদ্ধি পাচ্ছে।