সংবাদ পরিক্রমা
- জাপানের ৬৭তম আত্মসমর্পণ দিবসঃ বিতর্কিত দ্বীপে ১৪ চীনা আন্দোলন-কর্মী গ্রেফতারিত
ইউকেবেঙ্গলি - ১৫ আগস্ট ২০১২, বুধবারঃ চীন-সাগরে জাপান-নিয়ন্ত্রিত একটি দ্বীপে চীনের সার্বভৌমত্ব দাবি করে এক দল চীনা নাগরিক তাঁদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে জাপানের সমুদ্রকূল রক্ষীরা তাঁদের গ্রেফতার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাপানের পরাজয়ের পর আত্মসমর্পনের আজ ৬৭তম বার্ষিকীতে সংঘটিত এই ঘটনাটি দেশ দুটোর মধ্যে কূটনৈতিক কলহের সৃষ্টি করেছে।
জাপানীদের ডাকা সেনকাকো এবং চীনাদের ডাকা দিয়াওইয়ু নামের এ-দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে দু-দেশের মধ্যে দীর্ঘ কাল যাবত বিরোধ চলছে। কিন্তু আজ হংকং ও চীনের মূলভূখণ্ড থেকে আগত আন্দোলন-কর্মীরা বৌট-যোগে নিকটে এসে লাফিয়ে জলে পড়ে সাঁতরিয়ে দ্বীপে উঠে চীনের জাতীয় পতাকা মাটিতে পুঁতে দেয়। কিন্তু পূর্ব থেকেই অনুসরণ করা জাপানী কৌস্টগার্ডগণ দ্বীপে নেমে চীনা আন্দোলন কর্মীদের গ্রেফতার করে।
ঘটনাটির অনুসরণে জাপান সে-দেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা বলেছেন, গ্রেফতারিতদের বিরুদ্ধে ‘কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফু ইং গ্রেফতারিত আন্দোলন-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতি ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। তিনি জাপানের হাতে চীনা নাগরিকদের এই গ্রেফতারকে বে-আইনী বলে অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, আজকের তারিখের আজ থেকে ৬৭ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয় মেনে নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-কালে চীন ও কোরিয়া-সহ প্রতিপক্ষ দেশের সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিদের উপর বে-আইনী নির্যতন করার কারণে যদিও পুনঃপুন ক্ষমা চেয়েছে, কিন্তু এ-দিবসটির আগমনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে পুরনো স্মৃতি ও জাত্যাভিমানের উদ্রেগ হয়।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- ভৌটে জিতেছে স্বীকার করার পরও পুতিনকে অভিনন্দন জানাননি ক্যামেরোন
- মালিকানা-বিতর্কিত দ্বীপে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের পরিদর্শনঃ জাপান ক্ষুব্ধ
- গৃহযুদ্ধের মধ্যেও সিরিয়ায় গণভৌট অনুষ্ঠিতঃ নতুন সংবিধানের পক্ষে ৮৯% সমর্থন
- ভিয়েতনাম, কিউবা ও সেশেল-দ্বীপে নৌঘাঁটি বসাবে রাশিয়া
- আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতেরঃ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পশ্চিমের বিরুদ্ধে