সংবাদ পরিক্রমা
- পাকিস্তানে তালিবানের জেইল-ভাঙ্গা অভিযানঃ ২৪০ কয়েদীর পলায়ন
ইউকেবেঙ্গলি - ৩০ জুলাই ২০১৩, মঙ্গলবারঃ গতরাতে পাকিস্তানে কারাগারে আক্রমণ করে প্রায় ২৪০ বন্দীকে মুক্ত করেছে সশস্ত্র তালিবান যোদ্ধারা। পুলিস-তালিবান সংঘর্ষে ৬ পুলিস-সহ অন্ততঃ ১৩ জনের প্রানহানি ঘটেছে। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ-ঘটনার কৃতিত্ব দাবি করেছে।
তেহরিক-ই-তালিবানের মুখপাত্র শহিদ উল্লাহ শহিদ দাবি করেছেন, 'এ-অভিযানে আমরা ৭-সদস্যের আত্মঘাতি স্কোয়াড-সহ প্রায় ১৫০ জন যোদ্ধা পাঠিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো বন্দীদেরকে উদ্ধার করা এবং আমরা সফল, কারণ প্রায় ৩০০ জন মুক্ত হয়েছে'।
দক্ষিণ ওয়াজারিস্তানের দেরা ইসমাইল খান শহরে অবস্থিত কারাগারে এ-হামলায় তালিবান যোদ্ধারা আত্মঘাতি বোমারু-সহ গ্রেনেইড, মেশিনগান ও ভারী বিষ্ফোরক ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ-সময় তালিবান কর্তৃক চার শিয়া বন্দীর হত্যার খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
মাঝরাতের দিকে তালিবানের হামলা শুরু হয়। বোমার আঘাতে প্রথমে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারপর ভারী বোমার বিষ্ফোরণে ব্রিটিশ আমলে তৈরি জেইলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়। তারপর তালিবান যোদ্ধারা তাদের বন্দী সাথীদের মুক্ত করতে শুরু করে। এ-সময় সেখানে প্রায় ৫,০০০ বন্দী ছিলো, যার মধ্যে অন্ততঃ ২৫০ জন তালিবানের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত কয়েক সপ্তায় এ-নিয়ে ইরাক, লিবিয়া ও পাকিস্তানে পর-পর তিনটি দুঃসাহসিক জেইল-ভাঙ্গা অভিযান পরিচালনা করলো সুন্নি ইসলামী জিহাদীরা। এগুলো প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো দৃশ্যতঃ বন্দী সহযোদ্ধাদের মুক্ত করা। তবে এ-ঘটনাগুলো থেকে এটি প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে সুন্নি ইসলামবাদীরা দিন-দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।