সংবাদ পরিক্রমা
- ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর গোয়েন্দাগিরিঃ আদালতে 'বেআইনী' ঘোষিত
ইউকেবেঙ্গলি - ১৭ অক্টোবর ২০১৬, সোমবারঃ ব্রিটেইনের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো দীর্ঘ সতর বছরেরও অধিক সময় ধরে গোপনে ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রাইভেসী ইণ্টারন্যাশনালের উদ্যোগে আনীত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত এই কর্মকাণ্ডকে 'বেআইনী' সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে।
নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এই রায় এসেছে ইনভেষ্টিগেটরি পাওয়ার ট্রাইবুন্যালে। কেবল এই আদালতটিতেই এমআই৫, এমআই৬, জিসিএইচকিউর মতো গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যায়।
বিচারক তাঁর রায়ে বলেছেন, গোয়েন্দাদের এই কর্মকাণ্ডে নাগরিকগণের মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ব্রিটেইনে সঙ্গোপনে শুরু হয় ব্যক্তিগত টেলিফৌন ও ইণ্টারনেট ব্যবহারের তথ্যাদি পাইকারী হারে সংগ্রহের এই কার্যক্রম যা ২০১৫ সালের নভেম্বরে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলেছে।
নাগরিকদের টেলিফৌন ও ইণ্টারনেট ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহেকে ইউরোপীয়ান কনভেনশন অফ হিউম্যান রাইট্সের আর্টিকেল ৮ লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করা হয়েছে আদালতের রায়ে। এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যতথ্য, কর, জীবনবৃত্তান্ত, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড, যোগাযোগ ও ভ্রমণ সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্যের বিপুল সংরক্ষনের ফলেও ইউরীপীয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ হয়েছে।
সরকার কখনও নাগরিকগণের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারটি সংসদকে জানায়নি, ফলে এ-কাজটি সঠিক না বেঠিক তা নিয়ে কোনও বাছবিচারও করা হয়নি।
মামলার উদ্যোক্তা প্রাইভেসী ইণ্টারন্যাশনাল বলেছে, "এটি অগ্রহণযোগ্য যে [প্রাইভেসী ইণ্টারন্যাশনালের মতো] দাতব্য প্রতিষ্ঠানের করা মামলার মাধ্যমে আমাদের জানতে হচ্ছে [সরকারের] ক্ষমতার বিস্তৃতি ও কীভাবে তারা তা ব্যবহার করেছে"। তারা চায় যেনো গোয়েন্দাদের সংগৃহীত তথ্য নষ্ট করে ফেলা হয়। তবে আদালত এ-সংক্রান্ত স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়নি।