সংবাদ পরিক্রমা
- মানবতা-বিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের ফাঁসি
ইউকেবেঙ্গলি - ৯ মে ২০১৩, বৃহস্পতিবারঃ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আজ দেশটির মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সঙ্ঘটিত মানবতা-বিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নামের জামায়াতে ইসলামী দলের একজন নেতাকে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন। এ-নিয়ে চারজন অভিযুক্তের রায় প্রকাশিত হলো, যার মধ্যে তিনজনকেই সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড ও অপর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলায় বর্ণিত অভিযোগ অনুসারে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে গঠিত সশস্ত্র সংগঠন আল-বদরের প্রধান সংগঠক ছিলেন কামরুজ্জামান। বাংলাদেশের শেরপুর জেলা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন; সে-সময় তার বয়স ছিলো ১৯ বছর।
কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে সোহাগপুরের জাতিগত নিধন ও গোলাম মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়। বদিউজ্জামান হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, যার সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও সৈয়দ আবুল হান্নান নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাভোগের নির্দেশ দেন বিচারক।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের রায় ঘোষণা শেষ সাথে-সাথেই আসামী কামরুজ্জামান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'রঙ জাজমেণ্ট! রঙ জাজমেণ্ট! সবাইকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না'।
রায় শেষে সরকার পক্ষের আইনজ্ঞ আটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সন্তোষ প্রকাশ করেন। অপর পক্ষে আসামী পক্ষের আইনজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাক জানান, 'আমরা আপীল করবো'।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- মানবতাবিরোধে অপরাধে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডঃ বাংলাদেশ-জুড়ে সহিংসতায় ৩০ নিহত
- শাহবাগ-আন্দোলনঃ রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
- শাহবাগ আন্দোলনে নতুন মোড়ঃ শনিবার থেকে দিন-রাত্রির বদলে দিনে ৭ ঘণ্টার অবস্থান
- ঢাকার শাহবাগ-বিক্ষোভের প্রতি সংহতি লণ্ডনেঃ সাংবাদিক প্রহারিত জামায়াত-সমর্থকদের হাতে
- মানবতা-বিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনঃ মৃত্যুদণ্ড চায় বিক্ষোভকারীরা