সংবাদ পরিক্রমা
- মিসরে সেনাবাহিনীর 'নির্বিচার' গুলিঃ ৫১ মুর্সি সমর্থকের প্রাণহানি
ইউকেবেঙ্গলি - ৮ জুলাই ২০১৩, সোমবারঃ মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেণ্টকে গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেনাবাহিনী আটক করে রেখেছে। তাঁকে পুনর্বহাল করার দাবিতে বিক্ষোভরত সমর্থকদের উপর 'নির্বিচারে' গুলি চালিয়ে সেনাসদস্যরা অন্ততঃ ৫১ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটেইনের দ্য গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে। এ-পর্যন্ত অন্ততঃ ৪৩৫ জন আহত হয়েছে।
আজ সোমবার কায়রো-সহ অন্যান্য অনেকগুলো শহরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেণ্ট মোহাম্মদ মুর্সির দল মুসলিম ব্রাদারহূড বিক্ষোভ করেছে। এ-সময় সেনা-সদস্য ও মুর্সি-বিরোধী কর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ-ঘটনার জন্য মুসলিম ব্রাদারহূড ও সেনাবাহিনী একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
বিরোধী প্রধান-প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রণ্ট এ-সহিংসতা ও প্রাণহানির নিন্দা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ-হতাহতের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি 'নিরপেক্ষ' তদন্ত অনুষ্ঠান করার আশ্বাস দিয়েছে।
মিসরের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড়ো সহায়তা-দানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র মুর্সির এ-অপসারণকে এখনও সামরিক ক্যু বলে অভিহিত করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের রীতি অনুযায়ী, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতকারী সেনাবাহিনীকে প্রকাশ্যে সহায়তা দেয়া নিষেধ। মুর্সি-অপসারণ কাণ্ডে ওয়াশিংটনের অস্পষ্ট অবস্থান আজ আরও অস্পষ্ট করেছে স্টেইট ডিপার্টিমেণ্টের এক বিবৃতি, যেখানে বলা হয়েছে, মুর্সিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনও প্রেসিডেণ্ট মনে করে কি-না তা স্পষ্ট করে বলা হবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেণ্ট আদলি মানসুর আজ নির্বাচন-সহ অন্যান্য পরিকল্পনার সময়রেখা ঘোষণা করেছেন। তাঁর বক্তব্যমতে আগামী ৭ মাসের মধ্যে প্রেসিডেণ্ট নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তাঁর পরিকল্পনা-ঘোষণায় রয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে একটি সাংবিধানিক কমিটী গঠন ও ৫ মাসের মধ্যে নতুন সংবিধানের জন্য রেফারেণ্ডাম অনুষ্ঠান।
গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিরোধী উদারনৈতিক রাজনীতিক এল-বারাদির কথা শোনা গেলেও প্রেসিডেণ্ট তা নাকচ করে দেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।