সংবাদ পরিক্রমা
- লিবিয়ায় 'হামলার বিপক্ষে' ছিলো ইতালিঃ 'বাধ্য হয়ে' যুদ্ধে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বার্লুস্কোনি
ইউকেবেঙ্গলি, ৮ই জুলাই ২০১১, শুক্রবারঃ লিবিয়াতে ন্যাটোর চলমান বিমান-হামলা অভিযানকে স্পস্ট বিভেদের মুখে ফেলেছে হামলার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ইতালি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুস্কোনি বলেছেন তিনি 'প্রথম থেকেই লিবিয়া আক্রমণের বিপক্ষে' ছিলেন, কিন্তু 'তার হাত-বাঁধা' ছিলো।
এ-অভিযান থেকে অংশগ্রহণ কমিয়ে আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি। প্রায় ১০০০ সেনা-সহ বিমানবাহী রণতরী 'গারিবালদি' ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। স্মরণ করা যেতে পারে, গতমাসে ইতালির বিদেশমন্ত্রী ন্যাটোকে তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ-বিরতির আহবান জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার সাথে ইতালির ব্যাপক বাণিজ্য-সম্পর্ক রয়েছে। ঔপনিবেশ শাসনের অবসান হলেও এখনও লিবিয়ার সরকারী ও বেসরকারী উভয় পর্যায়েই ইতালির প্রভূত প্রভাব রয়েছে। তাছাড়া ইতালিতেও লিবিয়ার নগদ বিনিয়োগ-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে।
ইতালির কৌম্পানী ইএনআই লিবিয়া ছেড়ে যাওয়াতে সংশ্লিষ্ট তেল ও গ্যাসের কূপসমূহের ব্যাপারে লিবিয়া সরকার রাশিয়া ও চীনের তেল-কৌম্পানিগুলোর সাথে আলাপ শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে ইতালি আরও চাপের মুখে পড়বে।
এদিকে, জাতিসঙ্ঘের প্রধান বান কি মুন টেলিফৌনে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাগদাদী আল-মাহমুদির সাথে 'দ্রুত যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে' আলাপ করেছেন। যুদ্ধ বন্ধে 'জনগণের চাওয়া ও স্বার্থ' বুঝে গাদ্দাফিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুন। তিনি আরও বলেছেন, লিবিয়ায় তার বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল-খাতিব শীঘ্রই সকল লিবিয়াবাসীর শান্তির নিমিত্তে একটি রফা-প্রস্তাবে পৌঁছুবেন। জবাবে মাহমুদি জানিয়েছেন, আল-খাতিবকে ত্রিপোলিতে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
দৃশ্যতঃ লিবিয়ার প্রতি দেশে-দেশে ক্রমবর্ধমান সমর্থন ও ন্যাটোর প্রতি বিক্ষোভ দ্বন্দ্ব-কন্টকিত ন্যাটো ও পশ্চিমা পরাশক্তিগুলোকে এবার রাজনৈতিক সমাধানের দিকেই মনোযোগ দিতে বাধ্য করছে। আফ্রিকা-ইউনিয়ন ও লিবিয়া শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সঙ্কট নিরসনের দাবী জানাচ্ছে, যা এতোদিন আমলে নেয়া থেকে বিরত ছিল ন্যাটো।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- লক্ষ-লোকের সমাবেশে গাদ্দাফিঃ লিবিয়ার জনতা এ-লড়াই ইউরোপে নিয়ে যেতে সক্ষম
- লিবিয়ায় যুদ্ধ-বিরতির আহবান ইতালিরঃ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নাকচ
- গাদ্দাফিকে ‘ক্ষমতা’য় রেখেই যুদ্ধবিরতি রাজনৈতিক সমাধান চান আরব লীগের প্রধান
- প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরোন, লিবিয়াতে একটি 'ইউ-টার্ন' মারুন!
- ন্যাটোর হামলায় লিবিয়াতে আরও মৃত্যুঃ বিশ্বজুড়ে অসন্তোষ