সংবাদ পরিক্রমা
- সদ্য-ঘোষিত আকাশ-সীমা নিয়ে উত্তেজনাঃ চীনের যুদ্ধবিমান অনুসরন করেছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান
ইউকেবেঙ্গলি - ২৯ নভেম্বর ২০১৩, শুক্রবারঃ গত ২৩ তারিখে চীনের ঘোষিত নতুন অন্তরীক্ষ প্রতিরক্ষা এলাকা যুক্তরাষ্ট্র তিন দিনের মধ্যে লঙ্ঘন করতে শুরু করলে আজ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও যোগ দেয় তাতে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কয়েকটি গোয়েন্দা বিমান নয়া প্রতিরক্ষা-এলাকায় প্রবেশ করলে চীনের একটি যুদ্ধবিমান-বহর সেগুলোর পিছু নিয়ে অনুসরন করে। চীনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুসরন করলেও অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পূর্ব চীন সাগরে একগুচ্ছ দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদানুবাদ চলছে। জাপানী ভাষায় সেঙ্কাকু আর দীনাদের কাছে দাইয়ায়ু নামে পরিচিত দ্বীপপুঞ্জটির উপরে অধিকার দাবী করছে তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভূ-কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের খুব কাছে অবস্থান এবং সম্ভাব্য খনিজ ও জলজ সম্পদের কারণে চীন ও প্রতিবেশি দেশগুলো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে জনমানবহীন এ-দ্বীপগুলোর উপরে।
চীনের নতুন অন্তরীক্ষ-প্রতিরক্ষা এলাকার আওয়ায় রয়েছে বিতর্কিত এ-দ্বীপগুলো। এ-সীমায় প্রবেশের আগে সকল বিদেশি উড়োজাহাজকে নিজ-নিজ পরিচয় প্রকাশ করতে হবে এবং জানাতে হবে তাদের উড়াল-পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান তৎক্ষণাৎ জানিয়েছে এটি তারা মানবে না। যার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দু'টো মার্কিন পারমাণবিক বোমারু ব-৫২ বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সে-এলাকা দিয়ে। চীন জানায় জোড়া বি-৫২'র উড়াল-পথ তারা নিবিড়ভাবে নজরে রেখেছিলো।
যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে আশ্বস্ত করেছে যে দ্বিপাক্ষিত নিরাপত্তা চুক্তির আওয়ায় বিতর্কিত দ্বীপগুলোও পড়ে। উভয় দেশ জানিয়েছে চীনের একতরফা আকাশসীমা নির্ধারণ অগ্রহণযোগ্য। জবাবে চীন বলছে, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের একই রকম একান্ত অন্তরীক্ষ প্রতিরক্ষা এলাকা রয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইয়াং ইয়ুজান এক বিবৃতিতে বলেছেন, "তারা যদি আমাদের [প্রতিরক্ষা এলাকা] তুলে নিতে বলেন, তো তাদের উচিত হবে আগে তাদেরটা তুলে নেয়া - এর ৪৪ বছর পর আমরা তা বিবেচনা করে দেখবো।"
চীনের পত্রিকা দ্য গ্লৌবাল টাইম্স দেশটির কর্তৃপক্ষকে আহবান করেছে যেনো জাপানী বিমানের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা না করা হয়। জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের নয়া আকাশ-সীমা ভঙ্গ এবং চীনের পক্ষ থেকে সে-বিমানগুলোকে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে দৃশ্যতঃ উভয় পক্ষ যার-যার অবস্থানে দৃঢ় থাকার বার্তা দিচ্ছে।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- চীনের নয়া ঘোষিত 'অন্তরীক্ষ-নিরাপত্তা এলাকা' মার্কিন বোমারু বিমানের লঙ্ঘন
- সিরিয়া-সমঝোতাঃ বিদায়, বিশ্বের একমেরুতা!
- রাশিয়ায় শুরু হলো জি-২০ সম্মেলনঃ সিরিয়ায় মার্কিন হামলার বিরোধিতা চীন ও ইইউ'র
- বিতর্কিত দ্বীপের কাছে চীনের গ্যাস অনুসন্ধানের সন্দেহঃ ক্ষিপ্ত জাপানের নৌযান প্রেরণের প্রস্তুতি
- চীনের প্রেসিডেণ্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু