সংবাদ পরিক্রমা
- সরকার-ইউনিয়ন পেনশন আলোচনা ব্যর্থঃ ৩০ জুন ধর্মঘট হচ্ছেই
ইউকেবেঙ্গলি, ২৭ জুন ২০১১, সোমবারঃ সরকার ও ট্রেইড ইউনিয়নগুলোর মধ্যকার পূর্ব-নির্ধারিত আলোচনা বৈঠক আজ সোমবার কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হলো পরস্পর বিরোধী মন্তব্যের মধ্য দিয়ে - যার অর্থ হলো দেশ-ব্যাপী ৩০ জুন বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট হচ্ছেই।
দু'ঘন্টা ব্যাপী সোমবারের বৈঠকে একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার ফ্রান্সিস মড ও ট্রেজারীর চীফ সেক্রেট্যারী ড্যানী অ্যালেক্সজান্ডার এবং অন্যদিকে ছিলেন ট্রেইড ইউনিয়ন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেট্যারী ব্রেনড্যান বার্বার, পাবলিক এ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়নের সেক্রেট্যারী মার্ক সেরয়োটকা ও আরও কতিপয় ট্রেইড ইউনিয়নের নেতা।
বৈঠক-শেষে দেয়া এক যুক্ত-বিবৃতিতে মড ও অ্যালেক্সেন্ডার আলচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেন, কিন্তু পাবলিক এ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইনিয়নের জেনারেল সেক্রেট্যারী মার্ক সেরয়োটকা বৈঠকটিকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করেন। টিইউসি'র নেতা বার্বার দু'পক্ষের মধ্যে 'ফারাক' আছে বলে উল্লেখ করেন।
সরকারের প্রস্তাবিত পেনশন সংস্কারের মধ্য রয়েছে অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধি, পেনশনের জন্য বেতন থেকে বর্ধিত হারে ‘অবদান’ কেটে নেয়া এবং পেনশনের পরিমাণ শেষ মাসিক বেতনের ভিত্তিতে না করে গড় মাসিক বেতনের ভিত্তিতে করা।
সরকারের পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে ৪টি ট্রেইড ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ (৭৫০,০০০) পেশাজীবী ধর্মঘটের পক্ষে ভৌটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেইড ইউনিয়নগুলো হচ্ছেঃ ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ টিচার্স (এনইউটি), এ্যাসৌসিয়েশন অফ টিচার্স এ্যান্ড লেকচারার্স (এটিএল), ইউনিভার্সিটি এ্যান্ড কলেইজ ইউনিয়ন (ইউসিইউ) ও পাবলিক এ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস (পিসিএস) ইউনিয়ন।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- সরকার-ইউনিয়ন পেনশন আলোচনা ব্যর্থঃ ৩০ জুন ধর্মঘট হচ্ছেই
- ৩০ জুন ধর্মঘটঃ পেনশন-কাটা’র বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সাথে সরকারী কর্মচারীরাও
- স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও রাস্তায় নামবে ৩০ জুনঃ প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধের অঙ্গীকার
- শতো বছরের মধ্যে বৃহত্তম ধর্মঘট দেখবে ব্রিটেইনঃ হুমকি দিলেন ইউনিয়নের নেতা
- পাবলিক সেক্টরে অবসরের বয়স ও পেনেশনে অর্থ জমা বৃদ্ধি করতে হবেঃ ট্রেজারীর ঘোষণা