সংবাদ পরিক্রমা
- সাহারা মরুর অজ্ঞাত স্থানে সঙ্গোপনে সমাহিত গাদ্দাফিঃ সিরতে সমর্থকদেরকে নির্বিচারে হত্যা
ইউকেবেঙ্গলি - ২৫ অক্টোবর ২০১১, মঙ্গলবারঃ ন্যাটোর সহায়তায় বিদ্রোহীদের হাতে লাঞ্ছিত ও বিনা-বিচারে নিহত লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে সাহারা মরুভূমির অজ্ঞাত কোন এক স্থানে কবর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী এনটিসির একজন মুখপাত্র। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে হত্যা করার পর তাঁর মৃতদেহ মিসরাতার একটি হিমাগার রাখা হয় - পাঁচদিন পর আজ প্রত্যুষে অতি সঙ্গোপনে তাকে দাফন করা হয়েছে। একই স্থানে সমাহিত করা হয়েছে বিদ্রোহীদের হাতে বিনা-বিচারে নিহত গাদ্দাফির পুত্র মুতাস্সিম ও প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী আবু বকর ইউনুসকেও।
গাদ্দাফির রেখে যাওয়া 'উইলে' চাওয়া হয়েছিল যেন তাঁকে জন্মভূমি সিরতে কবর দেয়া হয়। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বারংবার লাশ চাওয়া হলেও দেয়া হয়নি। এনটিসি লাশ দিতে প্রত্যাখ্যান করার পর তাঁরা এ্যামনেস্টি ও জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে লাশের দাবী জানিয়েছিলেন। এনটিসির মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরিবারের কাছে লাশ দেয়া না হলেও তাঁর গোত্রের কয়েকজনকে লাশ দেখার ও শেষ-শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সিরতে শহরে প্রবেশ করার পর বিদ্রোহীরা নির্বিচারে খুন করেছে গাদ্দাফির সমর্থকদেরকে। হাত-বাঁধা অবস্থার নিহত অন্ততঃ ৫৩টি লাশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবী করেছে যে, মৃতদেহগুলো যে হৌটেলে পাওয়া গেছে সেটি বিদ্রোহী মিসরাতা ব্রিগেইডের দখলে ছিল। তাদের বক্তব্যমতে, তথ্য-প্রমানাদিতে দেখা যাচ্ছে যে, নিহতরা বিদ্রোহীদের হাতে যুদ্ধবন্দী থাকা অবস্থায় গুলির আঘাতে নিহত হন। সিরতের যে স্থানে গাদ্দাফির গাড়ি-বহরে ন্যাটো বিমান-হামলা চালায় সেখানে আরও ৯৫টি লাশ পাওয়া গেছে।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- ইসরায়েলী দাবিঃ ন্যাটো গাদ্দাফিকে আহত করে বিদ্রোহীদের হাতে খুনের জন্য তুলে দেয়
- লিবীয় নেতা গাদ্দাফিকে হত্যার দাবী বিদ্রোহীদেরঃ ন্যাটো বা যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত নয়
- জাতিসঙ্ঘের রেজ্যুলুশনের অসারতা প্রমাণ করে সিরতে ন্যাটোর গণহত্যা
- বনি ওয়ালিদে ন্যাটোর ব্যর্থ প্যারাশুট অবতরণঃ লিবীয় বাহিনীর হাতে ১৭ গ্রেফতারিত
- বনি ওয়ালিদে আবারও যুদ্ধ-পরাজয়ঃ লিবীয় বিদ্রোহী-শিবিরে ভাঙ্গন