সংবাদ পরিক্রমা
- সিরিয়ায় সুন্নি বিদ্রোহীদের পশ্চাদপসরণঃ সরকারী সেনাবাহিনীর কুসাইর শহর পুনর্দখল
ইউকেবেঙ্গলি - ৫ জুন ২০১৩, বুধবারঃ টানা দুই সপ্তাহ লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীদেরকে হটিয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুসাইর শহরের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে সিরিয়ার সরকারী সেনাবাহিনী। আজ সিরিয়ার সংবাদ-সংস্থা সানা জানায়, পরাজিত বিদ্রোহীদের বেশিরভাগ পালিয়ে গিয়েছে, অবশিষ্টদের মধ্যে জীবিতরা আত্মসমর্পন করেছে। বিদ্রোহীরা কুসাইর থেকে সাময়িকভাবে যোদ্ধা প্রত্যাহারের কথা বলেছে, যাকে 'পরাজয়ের স্বীকারোক্তি' বলে মনে করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
গুরুত্বপূর্ণ কুসাইর শহরটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্রোহীদের দখলে ছিলো। লেবাননের বেকা উপত্যাকা ও ত্রিপোলি থেকে এ-শহর হয়েই অস্ত্র ও রসদের সরবরাহ পেতো বিদ্রোহীরা। সেনাবাহিনীর এ-শহরের নিয়ন্ত্রন গ্রহণের মাধ্যমে হম্স শহরের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য শহরের সাথে যোগাযোগের সড়কপথেও সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। এছাড়া এর কাছ দিয়েই গিয়েছে দামেস্ক থেকে তার্তুস বন্দরের সাথে যোগাযোগের প্রধান পথ, যেখানে রাশিয়ার নৌঘাঁটি রয়েছে।
বিদ্রোহীদের সাথে কুসাইর দখলের লড়াইয়ে সিরিয়ার সেনাদের পক্ষে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহর যোদ্ধারাও। গত দু'সপ্তা ধরে শিয়া এ-সংগঠনটি প্রকাশ্যেই কুসাইর অভিযানে অংশ নেয়। এর আগে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে তাদের জড়িয়ে পড়ার দাবি অস্বীকার করে আসছিলো হিজবুল্লাহ।
আল-নুসরার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সুন্নি বিদ্রোহীরা সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায় থেকে আগত প্রেসিডেণ্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। অনুমান করা হচ্ছে এ-পর্যন্ত প্রায় ৭০,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এ-যুদ্ধে; গৃহহারা হয়েছেন আরও প্রায় ১৫ লাখ।
আপনার মন্তব্য
সম্পর্কিত অন্যান্য
- সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র দেয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন
- সিরিয়া গৃহযুদ্ধঃ বিদ্রোহী যোদ্ধাদেরকে বেতন দিচ্ছে তুরষ্ক ও উপসাগরীয় সুন্নি দেশগুলো
- সিরিয়ার বিদ্রোহী-জোটের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারঃ সেনা-নেতৃত্বের প্রত্যাখ্যান, জোট-প্রধানের পদত্যাগ
- সিরিয়া গৃহযুদ্ধঃ প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের অস্ত্র-ধারণ
- ব্রিটেইন ও জার্মানীর গোয়েন্দারা কাজ করছেন সিরিয়ার আল-কায়েদা বিদ্রোহীদের পক্ষে